ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর এখনও উত্তাল। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বেশীরভাগ জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীতে কাজে বের হওয়া এবং অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গণপরিবহন সংকট ও বেশ কিছু সড়কে যানজট ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
আবার রাত থেকেই টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ট্রাফিক অ্যালার্ট’ নামক জনপ্রিয় একটি গ্রুপে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট এবং বৃষ্টি ভোগান্তি নিয়ে অনেকেই পোস্ট করেছেন। সেখানে নূর আবু জাহিদ নামের একজন একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খিলক্ষেত ও বিশ্বরোডের মাঝামাঝি এলাকায় গত ২৫ মিনিট ধরে একটুও নড়েনি বাস। অতিরিক্ত যানজট এ সড়কে।
ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন আমাকে
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এটি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জাওয়াদ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব থাকবে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার একাধিক অঞ্চলে পানি জমে গেছে। রাজ্যের উপকূলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে পারে।
হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কতা হসেবে আজ সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে বলেই জানিয়েছেন তারা।
আনন্দবাজার/শহক