মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ৭৮ শতাংশ ভবন

  • হেলে পড়েছে তিনটি বহুতল ভবন

ভূমিকম্পে চট্টগ্রামে তিনটি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে। শুক্রবার ভোরে নগরীর চকবাজারের উর্দু গলি ও বহদ্দারহাট খাজা সড়কের সাবানঘাটা এলাকায় দুটি ভবন হেলে পড়ে। এছাড়া চকবাজার উর্দূ গলির ভবনটি পাশের আরেকটি ভবনে হেলে পড়ায় দুটি ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। নগরীর হালিশহর পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের খালপাড়ে নিউ এল ব্লকের তিন নম্বর লেনের ১২ নম্বর ‘সুফিয়ান ভবন’ নামে ৬ তলা একটি ভবন পাশের আরেকটি ভবনের উপর হেলে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই ভবনের বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, কাপাসগোলা চারতলা ভবনটি হেলে পড়েছে ফরিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে। হেলে পড়া ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁক থাকলেও ৩ তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি লেগে আছে পাশের পাঁচতলা ভবনে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ৩টি ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হেলে থাকা ভবন তিনটি এখন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ট্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, নগরের দু’টি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিডিএর টিম ভবনগুলো পরিদর্শন করছে। খাজা রোডের চারতলা ভবনটি একটু হেলে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমাদের টিমের সদস্যরা। চকবাজারের ভবনটি পরিদর্শন করে টিম এখনো রিপোর্ট দেয়নি।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ (ইইআরসি) এর গবেষণায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৭৮ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো। ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ  রস বেচে চলে না সংসার

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন