বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবেষণা: করোনার কারণে মস্তিষ্কে স্ট্রোকের সমান ক্ষতি হয়

করোনার কারণে মস্তিষ্কে স্ট্রোকের সমান ক্ষতি হয়
  • গবেষকরা জানান, করোনাভাইরাস সরাসরি স্ট্রোকের কারণ হতে পারে

ন্যাচার নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে মানুষের মস্তিষ্কে কী কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে, সে ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। সেই গবেষণা অনুসারে, করোনাভাইরাসের ফলে মানুষের মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয় তার মাত্রা স্ট্রোকের মতোই।

কীভাবে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত করে করোনাভাইরাস মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে, সম্প্রতি প্রকাশিত সেই গবেষণায় সেটিও উঠে এসেছে।

গবেষণাটিতে বলা হয়, রক্তক্ষরণসহ অন্য সকল মস্তিষ্কের অসুখ যেগুলো আসলে “মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ”, মস্তিষ্কে রক্তনালীতে কোভিডও একইরকম প্রভাব ফেলে!

জার্মান বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ৭৬% কোভিড আক্রান্ত রোগীদেরই সংক্রমণের চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্নায়ুবিক বৈকল্য এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে।

মস্তিষ্কের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) স্ক্যান রিপোর্টের বরাত দিয়ে গবেষকরা বলেন, গুরুতর কোভিড সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শিরা অনেক বেশি সরু হয়ে যায়। তখন সেগুলোর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না।

রক্তনালীর কোষ মরে যাওয়ার পর অবশিষ্ট টিস্যুগুলোর কারণে শিরা সরু হয়ে যায়। এ ধরনের শিরার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহের ধারা বাধাপ্রাপ্ত হয়। গবেষণায় আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সরাসরি স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।

গুরুতর কোভিড আক্রান্তদের ৮৪%-ই ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া, মৃগীরোগ, স্ট্রোক, হঠাৎ বেহুঁশ হয়ে পড়া এবং বিভ্রান্তির মতো স্নায়ুবিক সমস্যায় ভোগেন। করোনাভাইরাস মস্তিষ্কের বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও এটি সরাসরি মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় কি-না তা নিয়ে এখনও সন্দিহান গবেষকরা।

আরও পড়ুনঃ  জার্মানি পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কে ভাইরাল জিনোম এবং স্পাইনাল ফ্লুইড আকারে কোভিড-১৯ জেনেটিক উপাদান শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। তাদের আশঙ্কা, করোনাভাইরাস মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।

মস্তিষ্কের রক্তনালীতে করোনাভাইরাসে আরএনএ উপাদান পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ভাইরাসটি রোগীর শ্বাসযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন