শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঙালির শোকের দিন আজ

বাঙালির শোকের দিন আজ

আজ জাতীয় শোক দিবস-পনেরোই আগস্ট; বাংলার ইতিহাসে কলঙ্কিত দিন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের এই দিনে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বাঙালির অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করা; হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে ঘাতকেরা।

নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিল না ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস, নিজের দেশের মানুষ তার কোনো ক্ষতি করবে না। রাষ্ট্রপতি হয়েও তাই, বঙ্গভবনে না উঠে সাধারণ মধ্যবিত্তের মতো সপরিবারে থাকতেন এখানেই।

সে উদারতাই কাল হল। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট ভোররাতে আচমকা বৃষ্টির মতো গুলি।ঘুম ভাঙা চোখে নিচে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল। ক্যাপ্টেন বজলুল হুদার গুলিতে ঝাঝরা হয়ে যায় তার বুক।

এরপর সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন ল্যান্সার মহিউদ্দিন। দোতলায় ওঠার সিঁড়িতে সাহসের প্রতিমূর্তি হয়ে সামনে দাঁড়ান শেখ মুজিব। অবিচল বঙ্গবন্ধুকে দেখে ভড়কে যান মহিউদ্দিন। তখন স্টেনগান থেকে গুলি ছোড়ে বজলুল হুদা ও নূর চৌধুরী। ঝরে পড়ে বাংলার ৫৫ বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র।

তখন ভোর পাঁচটা বেজে চল্লিশ, সিঁড়িতেই লুটিয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। ঘাতকদের মিশন তখনও শেষ হয়নি। আজিজ পাশা আর মুসলেহ উদ্দীন শোবার ঘরে গিয়ে হত্যা করেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেসা মুজিব, শেখ জামাল, সদ্য বিবাহিতা রোজী জামাল, সুলতানা কামাল ও বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসেরকে।

আর শিশু রাসেলকে খুনিরা বসিয়ে রেখেছিলো গেটের পাশে পাহারাদারের চৌকিতে। রাসেল মায়ের কাছে যেতে চাইলে দোতলায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্রকে। সেদিন দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

আরও পড়ুনঃ  বাইরে করোনা, ঘরে মশার কামড়

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন