দেশে একদিনে ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯শ’ ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৩৫ জনের। আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বাড়ায় ফের চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে খালি নেই আইসিইউ বেড। সংক্রমণ আরও বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ অধিদপ্তরের।
পিতার মৃত্যুর খবরে দিশেহারা সন্তান আক্তার দেওয়ান। ২৪শে মার্চ পিতা আমীর হোসেনকে ভর্তি করেছিলেন রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে। রবিবার বিকালে তিনি মারা যান।
১০ দিন আগেও এই হাসপাতালে করোনা রোগী ছিলো মাত্র ৫ জন। ক’দিনের ব্যবধানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় নন কোভিড রোগী ভর্তিই বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ডে কয়েকটি বেড খালি থাকলেও ১৬ বেডের আইসিইউ এর সবগুলোতেই রোগী ভর্তি। তাই আইসিইউ প্রয়োজন এমন রোগীর স্বজন ঘুরছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯শ’ ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। এরমধ্যে ঢাকায় মারা গেছেন ২৫ জন। ঢাকায় ১০৫ টি আইসিইউ এর মধ্যে রবিবার দুপুর পর্যন্ত খালি ছিলো মাত্র তিনটি। যা বিকালেই পূর্ণ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে কঠোর হওয়ার পক্ষে মত তাদের। হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না, তাই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আনন্দবাজার/শহক