প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। এরমধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবার সকল নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে র্ভাচুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) জাতিকে একটি অসহযোগ আন্দোলনের পথ ধরে সশস্ত্র বিপ্লবের দিকে নিয়ে যান। তার সারাজীবনের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা ও বাঙালি জাতিকে নিয়ে তার লক্ষ্য স্থির করেই ভাষণ দিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে করোনাকালের বিরতি ভেঙে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। পরে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ধানমন্ডিতে ঢল নামে সাধারণ মানুষের। সবার কণ্ঠে এক ও অদ্বিতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর জয়গান শোনা যায়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে এতদিন সশরীরে হাজির হওয়া থেকে বিরত থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে। কিন্তু, সেই ধারা ভেঙে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সশরীরে হাজির হোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
আনন্দবাজার/শহক