ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মহামারিতে ৩৩ কোটিরও বেশি শিশু মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে: ইউনিসেফ

করোনা মহামারির কারণে বিগত নয় মাস ধরে ঘরে বন্দী বিশ্বের কোটি কোটি শিশু, এরফলে ৩৩ কোটিরও বেশি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। দেশব্যাপী জনস্বাস্থ্য নির্দেশনার কারণে ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছে প্রতি সাতজনে অন্তত একজন শিশু। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিশুরা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছে।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার এব্যাপারে বলেন, “অসংখ্য শিশু এসময় বিচ্ছিন্ন বোধ করছে, মহামারির কারণে আরোপিত লকডাউন, আইসোলেশনের কারণে তারা একেবারেই একা হয়ে পড়েছে, তারা ভীতসন্ত্রস্ত, একাকী ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত,”

দেশগুলোর আরও উন্নত ও কার্যকর উপায়ে মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া উচিৎ বলে জানান তিনি। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যার মতো বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিয়েই এ কাজ শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।

মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
ইউনিসেফের তথ্যানুযায়ী, প্রায় অর্ধেকের মতো মানসিক রোগই ১৫ বছরের আগেই শুরু হয়। প্রতি বছর আত্মহত্যার মাধ্যমে ৮ লাখ মানুষের মৃত্যুর তালিকায় বেশিরভাগের বয়সই ১৮’র চেয়ে কম।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ৯৩ শতাংশ দেশের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রম মহামারির কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, “দিনের পর পর দিন বন্ধুবান্ধব ও পছন্দের মানুষদের থেকে দূরে থাকা, এবং বাড়িতেই সম্ভাব্য নির্যাতনকারী সঙ্গে বসবাসের ফলাফল ভয়ানক হতে পারে,”

“অনেক শিশুই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ভীতসন্ত্রস্ত, একাকী ও আতঙ্কগ্রস্থ তারা। ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা তো আছেই। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি মনোযোগ দিয়েই মহামারি থেকে উত্তরণের পথে এগোতে হবে আমাদের,” বলেন তিনি।

বাড়িতেই নির্যাতন ও অবহেলার শিকার অনেক শিশু লকডাউনের ফলে নির্যাতনকারীর সঙ্গেই বাড়িতে বন্দী হয়ে পড়েছে। অত্যধিক ঝুঁকিতে থাকা শিশুরা- রাস্তায় যাদের বসবাস ও কাজের ক্ষেত্র, শারীরিক জটিলতা ও অক্ষমতা আছে যাদের এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস যাদের- তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি পুরোপুরিভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, মহামারির মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন বেড়ে গেলেও, বিশ্বের ৯৩ শতাংশ দেশে মহামারির প্রভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন