ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের বাণিজ্য বন্ধ বেনাপোল বন্দরে

বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন, জীবিকা বাঁচাও কমিটির ডাকা কর্মবিরতিতে রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ রয়েছে বেনাপোল বন্দরের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। সমাধান না হওয়ায় প্রবেশের অপেক্ষায় দুই পারের বন্দরে আটকা পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

বেনাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারতীয় সংগঠনটির ধর্মঘটের দাবির বিষয়টি নিয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় কেউ কাজে যোগ দিচ্ছে না। ফলে গত ৩১ জানুয়ারি সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি, রফতানি কার্যক্রম। এতে নানান ভাবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দ্রুত সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচল হওয়া জরুরি।

এদিকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই পার বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শতাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। এ পর্যন্ত কোন সমাধান না আসায় বাণিজ্য সচল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন। আটকে পড়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাট জাত পণ্য, মাছ, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, মেশিনারিজসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন।
কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ হচ্ছে। এ সব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কিন্তু কোন সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠনটি কর্মবিরতি পালন করে আমদানি, রফতানি বন্ধ করে দেয়।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ভারতীয় সংগঠন যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা কর্মবিরতি পালন করেছে। তবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের মুখে পড়েছেন। সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহন শুরু হবে এমনটি আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, চলমান সমস্যা ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীই ক্ষতির মুখে। চলমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যাতে দ্রুত বাণিজ্য সচল হয় তার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন