শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধী পরিবারের হাসি ফোটালো ভোলা জেলা প্রশাসন

প্রতিবন্ধী জামালের পরিবারে ফিরে এলো নতুন আশা। সবার মুখেই এখন হাসি। চরম দুঃসময় পার করছিলো অভাবগ্রস্থ পরিবারটি। এবার সাহায্যের হাত বাড়ালো জেলা প্রশাসন।

প্রতিবন্ধী মো. জামাল (৩৫) দৌলতখান,  চরখলিফা ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ছোট বেলায় তার মাকে রেখে বাবা চলে যায়। নেমে আসে সাংসারিক অভাব অনটন। বিধবা মা, সন্তান, স্ত্রী-কে নিয়েই চলে তার অভাবের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস গাছ থেকে পড়ে গিয়ে তার মেরুদন্ড ভেঙে যায়। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা নেওয়া  সম্ভব হয়নি তার। ভাংঙ্গা মেরুদন্ড নিয়ে এলাকা বাসির সহযোগিতা দিন চলতে থাকে জামালের।

দুঃখজনক তার স্ত্রীও শারীরিক প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে কোন মতে তাদের সংসার চালাতে হয়। জামাল জানান, তার এই ভাংঙ্গা কুঁড়ে ঘর বর্ষার সময় পানিতে ভিজে যায় এবং তার ঘরে থাকা আসবাবপত্র সহ সব কিছু নষ্ট হয়ে যায়। প্রকোপ শীতে খুবই কষ্ট হয় তার পরিবারের সকলের। জামাল সমাজের বৃত্ত-বানদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা কামনা করে।

এমন খবর প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক সহ দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাওছার হোসেনের দৃষ্টিগোচর হয়।

পরে জেলা প্রশাস‌নের কর্মরত কর্মকর্তা‌দের অর্থায়‌নে মু‌জিববর্ষ উপল‌ক্ষে প্রতিবন্ধী জামাল‌কে ঘর তৈরী ক‌রে দেয়ার জন‌্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল স‌রেজ‌মি‌নে উপজেলা প্রশাসন যাবে এবং আগামীকাল রবিবার (৩ জানুয়ারি) থেকেই জামা‌লের ঘ‌রের কাজ শুরু কর‌বে এবং তার ঘর মেরামত সহ সার্বিক সহযোগীতা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুনঃ  চীনের এসএমআইসিকে কালো তালিকাভুক্ত করছে ট্রাম্প প্রশাসন

সচেতন মহল মনে করছেন, সমাজের একশ্রেণির মানুষ প্রতিদিন ভোগবিলাসের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় করেন। এসব মানুষগুলোর ভেতর যদি মানবতাবোধ জাগ্রত হয় তবে গ্রাম ও শহরের অগণিত হতদরিদ্র মানুষের মানবেতর জীবনের অবসান হতে পারে।

আনন্দবাজার/শাহী/গাজী

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন