সড়ক নেই অথচ প্রায় তিন কোটি ২৪লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে সেতু। সেতুর এক পাশে সড়কের সংযোগ থাকলেও অপর পাশে রয়েছে ফসলের জমি। তবুও খালের ওপর তৈরি করা হয়েছে অপ্রয়োজনীয় এ সেতু।
সেতুর এক প্রান্তে কোনো সড়ক না থাকায় বর্তমানে সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের আনুজানি গ্রামের পাশের চেলাখালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এই সেতুর অবস্থান।
জানা গেছে, খালের দক্ষিণে আনুজানি গ্রামের চেলা খালের ওপর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ৩ বছর আগে। গ্রামের পাশের সড়ক যুক্ত করে সেতুটি খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৬ মিটার, প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। কিন্তু সেতুর অপর প্রান্তে কোন সরক নেই। আলপথ ছাড়া সড়কের কোনো অস্তিত্ব নেই সেখানে। এদিকে সেতুটি তুলনামূলক নিচু হওয়ায় ভরা বর্ষায় নৌ চলাচলেও বেপক বাধাগ্রস্ত হয়।
আনুজানি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মইনপুর ও কুরশি ছাড়াও খালের উত্তর পাড়ের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুজানি গ্রামের বাসিন্দা বিচারপতি মো. ইমান আলী, এলজিইডি ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মকিবুল ইসলাম জানান, পাশে একটি গ্রাম আছে। বর্ষাকালে যদি সেই গ্রামে যাওয়া আসা করা না যায় তাহলে ব্রিজের কোনো মূল্য নাই। রাস্তা নির্মাণ করলেও ব্রিজটি মানুষের তেমন কোন কাজে আসছে না।
এলজিইডির ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুল মনসুর মিয়া জানান, অনেক জায়গায় এ রকম হয়। দেখা গেছে, আগে সেতু হওয়ায় পরে সড়কের কাজ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত করা হয়েছে। ইতমধ্যে সেতুটির উত্তর পাশে সড়ক করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে