ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণ মেটাতে না পেরে সম্পত্তি হারাচ্ছেন প্রবাসীরা

ঋণ-মেটাতে-না-পেরে-সম্পত্তি-হারাচ্ছেন-প্রবাসীরা

ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে সম্পত্তি হারাচ্ছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যে খরচ বেঁধে দিয়েছে তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই, আড়াই গুণ বেশি টাকা দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

জানা গেছে, নিজের এবং পরিবারের ভাগ্য ফেরানোর আশায় ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে ঋণ করে বা সম্পদ জামানত রেখে যারা বিদেশে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৩ শতাংশ প্রবাসী ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে সম্পত্তি হারিয়েছেন বলে একটি সমীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১ম বারের মতো ‘অভিবাসন ব্যয় জরিপ’ শিরোনামে এই সমীক্ষা চালিয়েছে। এজন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বিদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তারা।

ইতোমধ্যে জরিপ প্রতিবেদনটি বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে করোনা মহামারীর কারণে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিবিএসের শিল্প ও শ্রম উইংয়ের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশে যাওয়া আট হাজার প্রবাসীর পরিবারের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।

ওই জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য যারা ঋণ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ কর্মী ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় জামানতের সব মালিকানা হারিয়েছেন। নারীদের মধ্যে জামানতের মালিকানা হারানোর হার ১৬ শতাংশ। সার্বিকভাবে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবাসী ঋণ ফেরত দিতে না পারায় জামানত হারিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময়ে বিদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮ শতাংশই ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ আত্মীয়স্বজন, এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে নিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরাই বেশি ঋণ নিয়ে বিদেশ গেছেন। ৮১ শতাংশ পুরুষ কর্মী আর ৫৬ শতাংশ নারী কর্মী ঋণ নিয়ে বিদেশে গেছেন।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে নারী ও পুরুষ মিলে প্রধান অভিবাসী গন্তব্য দেশ ছিল সৌদি আরব। তবে একজন অভিবাসীর সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় সিঙ্গাপুর যেতে।

অভিবাসনের ব্যয় সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নির্ধারিত অভিবাসী খরচের সাথে কোনও মিল নেই। সরকারের বেঁধে দেওয়া খরচের চেয়ে আড়াই গুণ খরচ হয় একজন প্রবাসীর। আর সেই অর্থ তুলে আনতেই লেগে যায় প্রায় ১৮ মাস।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন