ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত্রতত্র মলমূত্রের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ রাজধানীবাসী

যত্রতত্র-মলমূত্রের-দুর্গন্ধে-অতিষ্ঠ-মানুষ-রাজধানীবাসী

রাজধানীতে ব্যাপক ব্যয়বহুল জীবন-যাপন করছেন মানুষ। কিন্তু তবুও বর্তমানে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। রাস্তার ফুটপাতের কোণায় সুযোগ পেলেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন মানুষ। ফলে ফুটপাত দিয়ে পথচারী চলাচলে দুর্ভোগের সাথে অসহনীয় দুর্গন্ধে ব্যাপক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলার মাঠ বরাদ্দ আছে। আর এই মাঠের পাশেই ফুটপাত। ফুটপাতে প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করছেন। ফলে পথচারী চলাচলে দুর্গন্ধের মধ্যে পড়ছেন। এছাড়া সংসদ ভবনের আশেপাশ আরও কিছু এলাকায় মলমূত্রের ছাড়াছড়ি।

ফলে চরম অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর ওই পথে চলাফেরা করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নানা জায়গা থেকে সচিবালয়ের কাজে আসা অসংখ্য মানুষ ও সাধারণ পথারীরা।

তবে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন মানুষের সুবিধার্থে নানা এলাকায় টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে। আর এসব টয়লেটে প্রস্রাব করলে ৫ টাকা ও মল ত্যাগ করলে ১০ টাকা লাগে। এই টাকার কারণে অনেক মানুষ সিটি কর্পোরেশনের এসব টয়লেটে না গিয়ে রাস্তার কোণায় মলমূত্র ত্যাগ করছেন।

এমনকি প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের অনেকে এবং সচিবালয়ের আশেপাশে যারা কাজ করতে আসেন পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশেই মূত্র ত্যাগ করেন। এতে একদিকে যেমন আশপাশের এলাকায় চরম দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদিকে দিনে ও রাতে চলাচলকারী জনগণের ভোগান্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা গেছে,  ঢাকায় কমবেশি ৬২ লাখ মানুষের গণশৌচাগার ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে। তবে এই চাহিদা মেটাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ শৌচাগারের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এই শৌচাগারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকায় অনেকেই তা ব্যবহার করছে না। তাই বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ গণশৌচাগারের সংখ্যা কমেছে। এছাড়া গণশৌচাগার নেই বা গণশৌচাগার নির্মাণ করার মতো প্রয়োজনীয় স্থান বা অবকাঠামোগত সুবিধা নেই।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ও হেলথ এন্ড হোপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডাঃ লেলিন চৌধুরী জানান, মলমূত্রের মতো মানববর্জ্য হলো রোগ জীবাণুর খাদ্য। খোলা বর্জ্য শুকিয়ে ধুলো অথবা খাবারের সাথে কিংবা পানিতে মিশে মানবদেহে প্রবেশ করে। এতে টাইফয়েড, জন্ডিস, আমাশয়, ডায়রিয়া ও ক্রিমি রোগ হতে পারে। ঢাকায় এসব রোডের প্রধান কারণ খোলা মানববর্জ্য।

তিনি আরও জানান, খোলা মানববর্জ্যরে কারণে এসকল রোগ রাজধানীর মানুষের সারা বছর লেগে থাকে। মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় দিন দিন এই সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। তাই পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ সকল ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে সেখানে বর্জ্য ত্যাগ করা যাবে না।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন