ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বিক্রির জন্য ১০ লাখ ভ্যাকসিন আনছে বেক্সিমকো

দেশে-বিক্রির-জন্য-১০-লাখ-ভ্যাকসিন-আনছে-বেক্সিমকো

সরকারের করোনার তিন কোটি ডোজ টিকার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য ১০ লাখ ডোজ টিকা আনবে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি.। ১ম পর্যায়েই এই টিকা দেশে পৌঁছানোর পর তা বেসরকারি ফ্রন্টলাইনার ও সাধারণ জনগণ উভয়কেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো।

জানা গেছে, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন AZD 1222-এর প্রতি ডোজ ৫ ডলার করে কিনছে সরকার। ফলে প্রতি ডোজ টিকার মূল্য পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকা। তবে এর বাইরে সরকারিভাবে অতিরিক্ত কোনো ফি যুক্ত করা হলে সেটাও দামের সাথে যুক্ত হবে।

বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, তারা ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত অর্ডার নিশ্চিত করেছেন। তবে আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন আমদানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

সরকারিভাবে আমদানি করা ভ্যাকিসনগুলো গুরুত্ব বুঝে বিতরণ করা হবে। যেমন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো ফ্রন্টলাইনার এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা আগে পাবেন।

এই বিষয়ে বেক্সিমকো জানিয়েছে, তাদের আমদানি করা ভ্যাকসিনগুলো হবে প্রাইভেট সেক্টরের স্বাস্থকর্মীদের জন্য সেফগার্ড। যদিও ভ্যাকসিন কাদের দেওয়া হবে সেই তালিকা এখনও করেননি তারা।

রাব্বুর রেজা জানান, গার্মেন্টস, ওষুধ কোম্পানি, ব্যাংক ও কর্পোরেট অফিসগুলোর কর্মীরা সরকারিভাবে ফ্রন্টলাইনার না। তবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তারাও নিজেদের অবস্থান থেকে অনেক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মানুষগুলো কাজে যাচ্ছেন এবং আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, আমরা এই অতিরিক্ত ডোজ আনছি বেসরকারি সেক্টরের ফ্রন্টলাইনার ও সাধারণ মানুষের জন্য, যারা ভ্যাকসিন পেতে দেরি করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা অক্সফোর্ডকে প্রতি ডোজের জন্য ৮ ডলার করে পরিশোধ করবো। তাই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১২শ’ টাকা। যদিও মূল্যটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে চূড়ান্তভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হবে ভ্যাকসিন আমদানিতে সরকারের পলিসির ওপর ভিত্তি করে। যেখানে আমদানি খরচ ও ইনস্যুরেন্সও যুক্ত হবে।

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আমদানির জন্য গেল ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিরাম ইনস্টিটিউিট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৬ মাসের প্রথম পর্যায়ে সরকারিভাবে এই ভ্যাকসিনের প্রায় তিন কোটি ডোজ আসবে বাংলাদেশে। প্রতি মাসে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। জন প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সে হিসেবে মোট দেড় কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশের কাছাকাছি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন