ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি আইজ্যাক

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বালক সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইন ও নিজের লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ এই অধ্যাপককে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কবাসীদের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা জানিয়ে কুমো বলেন, সুবর্ণ এমন একজন ব্যক্তি, যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, বইয়ের মাধ্যমে সে বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে তার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে তার বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্ব শান্তি প্রচারের জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করে।

কুমো আরও বলেন, ভ্রাতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও সহানুভূতির মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকে গভীর চরিত্র এবং মূল্যবোধের সিঁড়ি হিসেবে আলাদা করেছেন। আপনার কাজের জন্য নিউইয়র্কের পক্ষে আপনাকে সম্মানিত করতে পেরে আমি গর্বিত।

সুবর্ণকে দেওয়া সম্মাননা পত্রে নিউইয়র্ক গভর্নর লিখেছেন, সব নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনার প্রশংসা করছি। কারণ, ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে আপনি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা জাগানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি এনে দিয়েছেন। অভিনন্দন ও অব্যাহত সাফল্য এবং সুখের জন্য শুভকামনা।

গভর্নরের পক্ষ থেকে সাড়ে আট বছর বয়সী বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে গত ১৭ অক্টোবর স্বীকৃতিপত্রটি দেন অ্যান্ড্রু কুমো। এর আগে ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে স্বীকৃতি দেয় বিজ্ঞানী হিসেবে। নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী দিল্লিতে তাকে বিজ্ঞানী হিসেবে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ দেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে সুবর্ণকে ভিজিটিং অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিয়েছে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়।

সুবর্ণ আইজ্যাক ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করে। পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

সুবর্ণের অভিভাবক জানান, নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো তার প্রতিনিধিদল মারফত সম্মাননা স্বীকৃতিপত্রটি তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। তারা সুবর্ণকে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন