ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় সাত কার্যদিবসেই হবে ধর্ষণ মামলায় রায়

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে মাত্র সাত কার্যদিবসের মধ্যে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে একটি শিশু ধর্ষণ মামলায়। বাগেরহাটের মোংলায় দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী এই ঘটনাটি ঘটেছে। আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে।

নারী নেত্রী, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মাত্র সাত কার্যদিবসে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়াকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। ধর্ষণের বিচার এভাবে দ্রুত সম্পন্ন হলে সেটা ধর্ষণরোধে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় নিজের মামার কাছে থাকত বাবাহারা সাত বছর বয়সী শিশুটি। বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩ অক্টোবর বিকেলে নিজের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ঐ এলাকারই আবদুল মান্নান সরদার নামে এক ব্যক্তি। পরে মেয়েটি এ ব্যাপারে তার মামাকে জানালে ওই রাতেই আবদুল মান্নানকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা করে শিশুটির মামা। ওইদিন রাতেই মোংলা থানা পুলিশ আবদুল মান্নানকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত মুখার্জ্জী ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১২ অক্টোবর গঠন করা হয় মামলাটির অভিযোগ। এর পরদিন ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। চিকিৎসক, বিচারিক হাকিম, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় ১৪ অক্টোবর। আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয় ১৫ অক্টোবর।

এর পর ১৬ ও ১৭ অক্টোবর সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার (১৮ অক্টোবর) বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে সোমবার (১৯ অক্টোবর) রায়ের দিন ধার্য করেন বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম।

নারী উন্নয়ন ফোরামের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রিজিয়া পারভীন বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আন্তরিক থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে যে বিচারকাজ শেষ হতে পারে এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই রায় ধর্ষকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে। নির্যাতিতাও তার বিভীষিকাময় স্মৃতির ক্ষত ভোলার আগেই বিচারের রায় শুনে মানসিক শান্তি অর্জন করতে পারেন। আমরা দাবি করব, অন্যান্য ধর্ষণ মামলার বিচারও যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি রনজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই মামলাটি তারই প্রমাণ। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আমরা যেভাবে সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছি, আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন