বর্তমানে আত্রাইয়ে ব্যাপক হুমকির সম্মুখে রয়েছে কাশিয়াবাড়ি স্লুইচগেট। গেল কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই যে কোন সময় এ গেট ভেঙে গেলে কাশিয়াবাড়ি ডারারপাড়, স্লুইচগেট বাজার, বলরামচক চৌধুরীপাড়া ও সোনাইডাঙ্গা গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ফলে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। এতে বর্তমানে তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। কারণ পানি আরও বৃদ্ধি পেলে বন্ধ হয়ে যাবে আত্রাই-পতিসর তথা আত্রাই-বগুড়ার সড়ক যোগাযোগ। সেই সাথে বৃদ্ধি পাবে জনদুর্ভোগ।
জানা গেছে, ৮০’র দশকে আত্রাই-পতিসর সড়কে মাটির কাজ করা হয়। ওই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ১০ গেট বিশিষ্ট একটি স্লুইচগেট এখানে নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি নদী থেকে বিলে নেওয়া এবং শুস্ক মৌসুমে খালের পানি আটকে রেখে এলাকার কৃষকরা যাতে কৃষি ফসল উৎপাদন করতে পারে সে জন্যই নির্মাণ করা হয়েছিল এ খালের উপর বিশাল আকৃতির স্লুইচগেট।
বর্তমানে গেটটি কৃষকদের উপকারের পরিবর্তে এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণের পর থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ইতোমধ্যে গেটের অনেকাংশ ভেঙে গেছে। এমনকি ১০ টি গেটের মধ্যে ২/৩ টি গেট সচল থাকলেও বাকি গুলো অকেজো হয়ে গেছে। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পারাপার না হওয়ায় গেটটিই এখন তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে।
এদিকে গত কয়েকদিন থেকে গেটের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে স্লুইচগেটের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ জন্য গত এক সপ্তাহ যাবৎ আত্রাই-পতিসর তথা আত্রাই-বগুড়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার জনগণ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানবক্স সরদার বলেন, এ স্লুইচগেটটি প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। এটি সংস্কার না করলে যে কোন সময় গেট ভেঙে এলাকাবাসী চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/এন এইচ এন