ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পার্থ চন্দ্রদেব। নতুন কিছু করার ইচ্ছা থেকে সেফটি পিন দিয়ে চেইন তৈরি করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম তুলেছেন তার। গেল ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে তার কাছে বিশ্ব রেকর্ড এর স্বীকৃতির সনদ এসে পৌঁছায়।
এই ব্যাপারে পার্থ জানান, পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি নতুন কিছু করার ইচ্ছে ছিল তার। জানতে পারেন, ২০১৮ সালে গুজরাটের দুই যুবক পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ চেইন তৈরি করে রেকর্ড করেন। তারা ১ হাজার ৭৩৩ দশমিক ১ মিটার চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে নাম লেখায়। এই রেকর্ড অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই কাজ শুরু করেন পার্থ।
নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩ টি সেফটি পিন একটির সাথে অপরটি সংযোগ করে দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেন ৬৭০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের চেইন। এজন্য তাকে ৪৫ দিনে মোট ২৪১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট কাজ করতে হয়েছে। সেই সাথে সময়ের হিসাব করার জন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারও সাহায্য ছাড়া ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৮৩ মিটার চেইন তৈরির পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন তিনি। পরে ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার তৈরি করা সেফটি পিনের তৈরি দীর্ঘ চেইনটি নিজ এলাকা ফান্দাউক শ্রীশ্রী পাগল শংকর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করেন।
এরপর সকল পরীক্ষা শেষে ইমেইলে সকল ডাটা পাঠান গিনেস বুকের কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ১ মিনিট গিনেস বুকে পার্থ চন্দ্র দেবের নাম স্থান পায়। পরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এ বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে বিশ্ব রেকর্ডের সার্টিফিকেট পাঠায় পার্থ চন্দ্র দেবের ঠিকানায়।
পার্থ আরও জানান, এই ব্যাপারে আমার অনুপ্রেরণা বড় ভাই জয়ন্ত দেব এবং বৌদি। এবার নিজের রেকর্ড ভাঙতে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি। আগামীতে স্টেপলার পিন দিয়ে এর চাইতেও বড় চেইন তৈরি করব।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে