বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছে

বর্তমানে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যে কোনো সময় এই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি বাড়ার কারণে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে আবারও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে পানি বাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে তারা দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পেলেই তারা ভাঙন রোধে কাজ শুরু করবে তারা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গতকাল শুক্রবার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার মিটার। আপাতত বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এই ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ৪৮ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। মে মাসের শেষ থেকে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। এখন আবারও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বন্যার হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম এবং শাহজাদপুর উপজেলার ব্রক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার স্থান অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিল। ভাঙন রোধে ১১শ’ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অনুমোদন হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুনঃ  খুলনায় দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন