ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিটাগুড় বিক্রি করেই আয় ৮ কোটি টাকা!

চিটাগুড় বিক্রি করেই বছরে ৮ কোটিরও বেশি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। চলতি অর্থবছরে নাটোর সুগার মিল ও লালপুরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে উৎপাদিত চিটাগুড় বিক্রি করেই প্রতিষ্ঠানটি এই টাকা আয় করেছে। সম্প্রতি নাটোর সুগারমিলের জিএম রফিকুল ইসলাম ও নর্থবেঙ্গল সুগারমিলের এমডি হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানিয়েছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সিন্ডিকেট ভাঙার কারণে। এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন করপোরেশনের চেয়ারম্যান–এমনই দাবি করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।

চিটাগুড় গো-খাদ্য, ডিসটিলারি, মাছের খাদ্য এবং স্টিল মিলে ব্যবহারের পাশাপাশি স্পিরিট তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে এর বাইরে বর্তমানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতেও ব্যবহার হচ্ছে।

এই ব্যাপারে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের এমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, চলতি অর্থবছরে চিটাগুড় উৎপাদিত হয়েছে ৯ হাজার ১৭০ টন। বেশ কয়েক ধাপে টেন্ডারের মাধ্যমে এই গুড় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে আরও মজুত রয়েছে ৪ হাজার ৭৫০ টন।

তার দাবি, গেল অর্থবছরে এই চিটাগুড় বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৭১১ টাকা টন। বর্তমান চেয়ারম্যান সনত কুমার সাহা দায়িত্ব গ্রহণের পর জানিয়েছেন, এই চিটাগুড় উৎপাদনের একমাত্র জায়গা হচ্ছে সুগার মিল। এক্ষেত্রে কোনও বিকল্প উৎপাদক না থাকায় বাজারের চেয়ে কমদামে গুড় বিক্রির বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি। এভাবে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে ওই মূল্য উঠেছে এখন ২২ হাজার ১৪৭ টাকা টন। এ কারণে এখন পর্যন্ত মিলের গুড় বিক্রি করে গেল অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে।

নাটোর সুগারমিলের জিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত মিলে উৎপাদিত চিটাগুড়ের মধ্যে মাত্র ৫০-৬০ টন মজুত রয়েছে। বিক্রি হওয়া চিটাগুড় গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন