ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা এখনো প্রায় ৬ কোটি

আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ উদযাপিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘কোভিড-১৯ সংকট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’।

এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সরকারিভাবে দিবসটি উদযাপনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র দশমিক ৮ শতাংশ। সাক্ষরতা এই হারে বাড়তে থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে লাগবে আরও প্রায় ৩২ বছর। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে নিরক্ষর ৪ কোটি মানুষ।

সাক্ষরতার হার নিরূপণে গত এক দশকে কোনো পদক্ষেপ নেই সরকারের পক্ষ থেকে। এসডিজির ৪ (৬.১) নম্বর অনুচ্ছেদে সাক্ষরতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংজ্ঞা অনুযায়ী সাক্ষরতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীর সমমানের হতে হবে। ইউনেস্কোর বৈশিষ্ট্য পূরণ করে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ক্যাম্পে একটি সমীক্ষা হয়েছে। সেটির তথ্যানুযায়ী দেশে সাক্ষর মানুষ ৫১.৩০ শতাংশ।

বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে বর্তমানে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ এখনও নিরক্ষর। আর ২০১৬ সালের পর প্রতিবছর দশমিক ৭ শতাংশ বাড়লে এখন পর্যন্ত সেটা বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। এরপরও বেসরকারি হিসাবে সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশের বেশি নয় বলে মনে করা হয়। সেই হিসাবে নিরক্ষর মানুষ ৫ কোটি ৮৮ লাখেরও বেশি।।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, মুজিববর্ষে আমরা ২১ লাখ নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষর করার কর্মসূচি নিয়েছি। এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাব।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন