ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় নদী ভাঙনে বিলীনের পথে মাদরাসা

গাইবান্ধার নানা স্থানে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে নদীগর্ভে বিলীনের পথে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়ার গলনা চরের ঝানঝাইড় আত তাওহীদ আস-সালাফিয়া মাদ্রাসাটি।

জানা গেছে, চরাঞ্চলে ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে ২০১৩ সালে শফিকুল ইসলাম (আবু সামাদ) এর উদ্যোগে ও ড. সাইফুল্লাহ মাদানীর আর্থিক সহায়তায় মাদ্রাসাটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাহায্য-সহযোগিতায় শিক্ষা কার্যক্রম এলাকার শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহুমুখী শিক্ষার গুণগত মানের বিস্তার ঘটায় ক্রমান্বয়ে শিক্ষার্থী বাড়তে থাকে। বর্তমানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে মাদ্রাসাটিতে।

 যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের কারণে মাদ্রাসা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নদীগর্ভে বিলীনের উপক্রম হওয়ায় মাদ্রাসাটি ভেঙে আসবাবপত্র এবং টিনের চালগুলো খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়। ফলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল।

বর্তমানে মাদরাসা মাঠে স্তুপ করে রাখা মালপত্র জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র সরানো এবং নতুন স্থানে মাদ্রাসাটি স্থানান্তর নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুধীমহল উদ্বিগ্ন। কিন্তু আর্থিক সংকটে নতুন স্থানে কিনে মাদ্রাসা স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। অতি জরুরি ভিত্তিতে স্তুপ করে রাখা বাঁশ, কাঠ, টিন, চেয়ার-টেবিল, ইট এবং কংক্রিটের খুঁটি অন্যত্র সরানো না হলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে ওইসব মালামালগুলো।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ওবাইদুল্লাহ জানান, বর্তমানে মাদরাসাটি অন্যত্র পুনঃস্থাপন করে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (আবু সামাদ) জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। আর্থিক সংকট নিরসনসহ প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র পুনঃস্থাপন করতে সমাজের বিত্তবানসহ সকলের সহায়তা কামনা করছি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন