এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিস্কার ও ফুলবাড়ি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলবাড়ী দিবস পালিত হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জতীয় কমিটি জেলা শাখার আয়োজনে শহরের চৌরাস্তা থেকে এক মিছিল বের হয়ে বড়মাঠ ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার গিয়ে শেষ হয়।
শহীদ মিনারে আলোচনা সভা, ফুলদিয়ে ফুলবাড়ী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সেখানে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আহবায়ক রেজওয়ানুল হক রিজু, সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল,সদস্য ও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী,জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৪ বছর আগে ২৬ আগস্ট এই দিনে ফুলবাড়ির জনগণ বিদেশি কোম্পানি এশিয়া এনার্জির উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ও এ দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় জীবন দিয়ে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল আজও তা এ দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে ধ্রুব তারা ।
এই ঐতিহাসিক দিবসের প্রাক্কালে আমরা সালাম জানাই শহীদ তরিকুল, সালেকিন, আল আমিন; বীর যোদ্ধা বাবলু রায়, প্রদীপ, শ্রীমন বাস্কেসহ অগণিত সংগ্রামী মানুষকে।
মানুষের ঐক্য ও অবিরাম প্রতিরোধ উত্তরবঙ্গসহ সারা দেশকে রক্ষা করেছে, নদী-কৃষিজমি-ভূগর্ভস্থ পানির আধারকে এক অকল্পনীয় বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে। কিন্তু চক্রান্ত এখনও চলছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করা হচ্ছে, ভুইফোড় কোম্পানি বেআইনীভাবে বাংলাদেশের সম্পদ দেখিয়ে লন্ডনে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করছে, চীনা কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলায় তাই প্রতিরোধও জোরদার করতে হবে। ফুলবাড়ীর প্রতিরোধ চেতনা দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন দিশা দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এশিয়া এনার্জি (জিসিএম)কে দেশ থেকে বহিষ্কারসহ ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’র পূর্ণ বাস্তবায়ন, ফুলবাড়ী নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রামপাল-রূপপুরসহ প্রাণবিনাশী স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প বাতিল করে করোনা মোকাবিলাসহ সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাখাত প্রতিষ্ঠা, উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশে সুলভে সার্বক্ষণিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
আনন্দবাজার/শাহী/মিলন