সম্প্রতি খুলনাবাসীর স্বপ্নের রেলপথের কাজ ৬৯ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণকাজ। তাই প্রকল্পটি ঘিরে চলছে উৎসব আমেজ। কর্মী-শ্রমিক আর প্রকৌশলীদের আনাগোনায় মুখরিত পুরো এখন এলাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে খুলনাবাসীর। দিন যতই যাচ্ছে কাজের অগ্রগতি ততই বেড়ে চলেছে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। খুলনা-মোংলা রেললাইন চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া রেলপথ নির্মাণ শেষ হলে নানা জায়গা থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সহজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে দেশের রাজস্ব আরও বাড়বে।
জানা গেছে, খুলনা থেকে মোংলার যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। পরে ২০১২ সালের নভেম্বর প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পায় ভারতের সিইজি নিপ্পন কোয়ি জেভি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন।
ইতোমধ্যে খুলনা এবং বাগেরহাটে ৭৫১ একর জমি অধিগ্রহণের পর মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় পাথর, কংক্রিটের স্লিপার এবং রেলপাটিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আনা হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে বাধাগ্রস্ত হয় প্রকল্পের সব কাজ। এছাড়া বৃষ্টিও এ কাজে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন (জিওবি) ও ভারত সরকারের আর্থিক সহযোগিতা এ রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টাব্র রূপসা নদীর ওপর মূল রেলসেতুর কাজ সম্পন্ন করছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি আর বৃষ্টিতে তিন দফা প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হওয়ায় এর মেয়াদ এবং ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এই ব্যাপারে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসাইন মাসুম জানান, সাইটে নানা সরঞ্জাম থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজে বাধা সৃষ্টি হয়। তবে ১২ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে