রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ে সৌখিন কবুতর প্রেমী মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম

 বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এমনই একজন নওগাঁর আত্রাইয়ে কবুতর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সৌখিন কবুতর প্রেমী এক মসজিদের মুয়াজ্জিন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৫ ওয়াক্ত আযান এবং নামাজের পর অবসর সময় পার করতে এবং বাড়তি আয় করে স্বাবলম্বী হতে গড়ে তুলেছেন দেশী-বিদেশী বাহারী রকমারি কবুতরের ফার্ম।

জানা গেছে, উপজেলার মালিপুকুর জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের চকদৌলত গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে। প্রায় বছর দেড়েক আগে তিনি এ মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে যোগদান করেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজের আযান ও নামাজের পর অবসর সময় অতিবাহিত করতে অনেকটা সখ করেই প্রথমে কয়েকটি কবুতর কিনে পালন করা শুরু করেন।

কিন্তু পরবর্তীতে কবুতরের প্রতি তার আসক্ততা বেড়ে গেলে বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেশী-বিদেশী রকমারী কবুতর সংগ্র শুরু করেন। এক পর্যায় গড়ে তুলেন দেশী-বিদেশী কবুতরের ফার্ম। বর্তমানে তার ফারামে সিরাজী, মক্কী, লাটকা, ময়ূরী, গীরিবাজ, বোখারাসহ দেশি-বিদেশী প্রায় ১০০ জোড়া কবুতর রয়েছে। মূল্যবান এসব কবুতর তিনি দেশের নানা অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন।

এই ব্যাপারে মুয়াজ্জিন ক্বারী শরিফুল ইসলাম বলেন, কবুতরের প্রতি আমার অগাধ ভালবাসা তৈরি হয়েছে। কবুতর প্রতিপালন করে একদিকে আমার সময় কাটে, অপর দিকে আর্থিক আয়ও হয়। আমার খামারে যেসব কবুতর আছে তার সবগুলোই দর্শনীয় এবং উচ্চ মূল্যের। বর্তমান বাজারে সিরাজী ২৫০০ টাকা জোড়া, মক্কী ২৫০০ টাকা জোড়া, লাটকা, ২০০০ টাকা জোড়া ময়ূরী ২২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ ইন্ডিয়ান ১২০০ টাকা জোড়া, গীরিবাজ দুবাই ১৭০০ টাকা জোড়া, এবং বোখারা ৩০০০ টাকা জোড়া ক্রয় বিক্রয় হয়। আমার এ কবুতর ফার্থেম কে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়।

আরও পড়ুনঃ  করোনার আর্থ-সামাজিক প্রভাব বিষয়ে সেমিনার কাল

নাজমুল হক নাহিদ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন