রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে দিন দিন কমে যাচ্ছে জনগণের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, হাট-বাজার খোলা থাকায় নগরীর অলিগলিতে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। নগরীসহ গ্রামের মোড়ে মোড়েও জমে উঠছে আড্ডা। এসব স্থানে অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারটি অবহেলা করছেন।
সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বস্তরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে গত ২১ জুলাই পরিপত্র জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাস্তার হকার, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে গণপরিবহন এবং অফিস-আদালতে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও তা নিশ্চিত হচ্ছে না।
রাজশাহী নগরীর নিউমার্কেট, লক্ষ্মীপুর, সাহেব বাজার, কোর্ট বাজার, উপশহর, রেলগেট, ভদ্রাসহ মোড়গুলোতে মাস্ক ব্যবহার না করেই বেশিরভাগ মানুষকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। অটোরিকশাসহ রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতেও ড্রাইভার, হেলপারসহ অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করছেন না। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন তারাও সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না।
নগরীর বিপণিবিতান, খাবার হোটেল, ওষুধ ফার্মেসি, বাজারগুলোতেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এছাড়া লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্রশাসনিকভাবে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করার কথা বলা হলেও অধিকাংশ ফার্মেসিতে মাস্ক ছাড়াই বিক্রয়কর্মীদের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। এখানে খাবার হোটেলগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করতে দেখা গেছে।
অপরদিকে নগরীর পদ্মাপাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় জমলে এখানেও স্বাস্থ্যবিধি কিংবা বাধ্যতামূলক মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়াই পদ্মাপাড়ে ঘুরছেন।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তারা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে করছেন। মাস্ক বিতরণও করা হচ্ছে। তবে মানুষ সচেতন না হলে এটা নিশ্চিত করা কঠিন। তাই করোনা রোধে আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে