বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ভারতের সঙ্গে চুক্তি!

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। তবে বিদ্যুৎ আমদানির এই চুক্তি সরাসরি নেপালের সঙ্গে না করে করতে হয়েছে ভারতীয় একটি কোম্পানির সঙ্গে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু সরাসরি নেপাল থেকে নয়, ভারতীয় একটি কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। আবার বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩শ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ কিনছে।

নেপালের চাহিদা পূরণের পর যে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকবে তা বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে বিক্রি করতে পারবে নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হলে এই দুটি দেশ থেকে বিদ্যুৎ কিনতেও পারবে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।

নসরুল হামিদ বলেন, নেপালে জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা বিশাল। এই জলবিদ্যুৎ নেবার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন। আমি নিজে গত বছর গিয়েছিলাম নেপালে এবং সেখানে আমাদের একটা চুক্তি সই হয়েছে। ভারতের জিএমআর কোম্পানির কাছ থেকে নেপালের বিদ্যুৎ নেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরাসরি চুক্তি হচ্ছে জিএমআরের সাথে যে ওনারা বিদ্যুৎটা আনছেন নেপাল থেকে। তারা সঞ্চালন লাইন তৈরি করবে, আমরা সেখান থেকে বিদ্যুৎ নেবো।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা এর অর্ধেকের মতো। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত থেকে ১৩শ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ কিনছে।

আরও পড়ুনঃ  চায়না জালে মা-মাছ নিধন

ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের আমদানি ব্যবসা ভারত তার একটি পলিসি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। তাদের ক্লজ অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতাতেই শুধু বিদ্যুৎ ব্যবসা হতে পারবে। সেই কারণে নেপাল থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ নিতে পারার সুবিধাটা বাংলাদেশ পায়নি।

তিনি আরও বলেন, এই জায়গাটায় দর কষাকষির সুযোগ ছিল। আমরা যেসব সুবিধা ভারতকে দিয়েছি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে, ট্যাক্স টোলের ব্যাপারে, সেই সব সুবিধার বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশের জন্য এই ক্লজ বাতিল করতে পারতো। যে অসম নিয়ন্ত্রণ পলিসি ভারত বিদ্যুৎ আমদানির উপরে আরোপ করেছে, আমি মনে করি বাংলাদেশের এটা নিয়ে কূটনৈতিক লড়াই করা উচিৎ।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন