কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক প্রকল্পে একেকটি বঁটি দশ হাজার টাকা দিয়ে কেনার প্রস্তাবনা কীভাবে এলো, সেই দায় নিচ্ছেন না কেউ। এত বড় প্রকল্পে অনেক ধরনের বড় যন্ত্রপাতির মধ্যে ছোট জিনিসের দাম বেশি ধরার বিষয়টি কীভাবে হলো তা এখন খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রস্তাবনায় স্বাক্ষরকারী কর্মকর্তা।
জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) অতিরিক্ত দামের এসব বিষয় উঠে এসেছে। ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্পটি গত সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এই চড়া দামে কেনাকাটা।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও সাপোর্ট সার্ভিসেস) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে অধিদফতরের কোনও সংশ্লিষ্টটা নেই। এটি কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্ল্যানিং কমিশন দেখেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের বরাদ্দের জন্য প্রস্তাবনায় সই করেছেন পরিকল্পনা উইংয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান সুজয় চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করছি।
তিনি আরও বলেন, এটা অধিদফতর থেকেই আসে। অনেক পর্যায়ে এটি যাচাই-বাছাই হয়। এটা অনেক বড় প্রকল্প, এখানে অনেক আইটেম ছিল। ছোট ছোট আইটেমগুলোর দাম যেহেতু বেশি বলা হচ্ছে, আমরা বাজার দর দেখে যাচাই করার চেষ্টা করছি। এরকম বড় প্রকল্প দেশে এই প্রথম। এখানে অনেক কৃষি যন্ত্রপাতি আছে। এরমধ্যে ছোট ছোট কয়েকটি আইটেমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম হয়তো এসেছে। এখন এখানে ভুল করে হয়েছে না কীভাবে হয়েছে এটা মন্ত্রণালয় দেখবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি