ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হটস্পট ঘোষিত নারায়ণগঞ্জে পশুর হাটের অনুমতি!

রেডজোন ঘোষিত নারায়ণগঞ্জে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করেছিলো কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কারিগরি কমিটি। তারপরেও হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত জেলার সচেতন মহলের লোকজন। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী।

জানা গেছে, গত ১০ জুলাই পরামর্শক কমিটির ১৪তম অনলাইন সভায় হাট না বসানোর প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি করোনার বিস্তাররোধে ঈদের ছুটিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াত বন্ধ রাখারও পরামর্শও দেয় কমিটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবনযাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি। কমিটি ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পরামর্শ দেয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ করেছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন করা না হয়। এক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার কথা বলেছে কমিটি। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় সংক্রমণ প্রতিরোধ নীতিমালা পালন সাপেক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর কথা বলেছে কমিটি।

তবে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন (নাসিক) এলাকায় ইতিমধ্যেই ৭টি এবং সদর উপজেলায় ১১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতারা পেয়েছেন কোরবানির পশুর হাটগুলোর ইজারা। গত বছর নাসিক ২৭ টি ওয়ার্ডে মোট ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়েছিল। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে, কমিয়ে আনা হয়েছে উপজেলাতেও। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শহরের অভ্যন্তরে কোন হাটের দরপত্র আহবান করা হয়নি।

এদিকে জেলার পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারের নির্ধারিত নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে হাট পরিচালনা করতে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি হাট মনিটরিং করা হবে। তিনি জানান, হাটগুলোতে পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। হাটে কোন ধরণের জটলা করতে দেয়া হবে না। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়গুলো নিয়মিত তদারকি করবে।

এতো কিছুর পরেও করোনার সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব কি না তা নিয়ে সন্দিহান জেলার সচেতন মহল। তারা বলছেন, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কারিগরি কমিটি যেহুতু জেলায় হাট না বসানোর জন্য বলেছিলেন সেহুতু সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করা উচিৎ ছিলো। তারপরেও যদি নিয়ম কানুন মেনে হাট পরিচালনা করা যায় তাহলে ভালো।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন