ঈদের বাকি আছেআর মাত্র ১১ দিন। তার পরেই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজাহা। আর সে কারণেই মানুষ ভিড় করছে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই মাস্ক ছাড়াই ঘুরছে ক্রেতা।
ঢাকার নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতে এবং মার্কেটে অগনিত লোক সমাগম। একজন আরেকজনকে ঘেঁষেই হেঁটে যাচ্ছে পথের ওপর দিয়ে। মুখে মাস্ক থাকলেও তা নিচে নামানো এবং এই অবস্থাতেই ক্রেতা বিক্রেতা দরদাম করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধির বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি এসময়। মার্কেটের দোকানগুলোতে বিক্রেতারা মাস্ক পড়ে বসে থাকলেও অনেক দোকানেই নেই হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা। যে যেভাবে পারছেন ক্রেতা ডাকছেন আর পণ্য বিক্রি করছেন। ফুটপাথের হকারদের অবস্থা আরও করুণ। সেখানে সামাজিক দূরত্ব নেই এবং কোনও হকারের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। নিউমার্কেটে ক্রেতার সমাগমে গাউসিয়া থেকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে রীতিমত জ্যাম লেগে থাকতে দেখা যায়।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শ হিসেবে বলা হয় – স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, করোনাকে প্রতিরোধ করবেন। সঠিকভাবে মাস্ক পরবেন, বারবার সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোবেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলবেন। কিন্তু রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় এই পরামর্শের তোয়াক্কা করছেন না বেশির ভাগ মানুষ।
স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না গাউছিয়ার দোকানিরা অপর এক কাপড় বিক্রেতা বলেন, ‘কাস্টমার নিজেই মাস্ক পরে না। আর আমরা ফুটপাতে বইসা কয়টাকা আর লাভ করি। এতকিসু মানমু ক্যামনে?’
এসময় একজন ক্রেতা কাপড়ের দাম জানতে চাইলে তার মুখে মাস্ক না থাকায় প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, আমরা তো ঘুরতে আসি নাই, দরকারে আসছি। মাস্ক ব্যাগে আছে, যখন দরকার তখন পরবো।
চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, হকারস মার্কেট আর গাউসিয়া কমপ্লেক্স ঘুরে ভেতরে লোক সমাগম বেশ কম দেখা যায়।
আনন্দবাজার/শহক