শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দু’দিনে তিস্তা পানিতে বিলীন পাঁচ শতাধিক পরিবারের ঘর

তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারির একদিন পরই পানি কমতে শুরু করলেও তীব্র ভাঙনে ঘরবাড়িসহ ফসলি খেত বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে লালমনিরহাটে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমতে শুরু করে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। যার স্বাভাবিক মাত্রা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

জানা যায়, লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আঙ্গরপোতা,সর্দ্দার পাড়া ও কাতিপাড়ায় তিস্তার পানি প্রবেশ করে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ সময় বালু পড়ে ৩৫ একর ধানখেত নষ্ট হয়েছে।

সর্দ্দার পাড়ার গৃহহারা জহিদুল ইসলাম জানান, কোনো দিন ভাবিনি হামার এদিক তিস্তার পানি আসি সব ভাসি নিয়া যাইবে। ঘরে থাকা চাউল, ধান, বাদাম, হাঁস-মুরগি নদীতে ভাসি গেছে।

দহগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, তিস্তার পানি হঠাৎ করে প্রবেশ করে ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় দুইশতাধিক পাকা ঘর নদীর স্রোতে ভেসে গেছে। বালু পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, নতুন করে পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ১২০ মেট্রিক টনসহ মোট ২৪৪ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলায় ত্রাণ বিরতণ অব্যাহত রয়েছে।

আনন্দবাজার/রনি

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  সাত বছরে বাণিজ্যের আড়ালে কোটি টাকা পাচার

সংবাদটি শেয়ার করুন