ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে নির্মাণের দশ দিন পরেই ভেঙ্গে গেছে কালভার্ট

পঞ্চগড়ে নির্মাণের মাত্র ১০ দিনের মাথায় ভেঙ্গে গেছে কালভার্ট। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করার কারণে কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে বলে অভিযােগ করেছেন এলাকাবাসি। নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসি গত ১২ জুলাই তেঁতুলিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযােগ করেছেন।

জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নিজবাড়ি বাসা মােড় থেকে সুকানী সীমান্ত গ্রামীণ রাস্তার শিবচন্ডি গ্রামের আব্দুল খালকের বাড়ির পাশের রাস্তায় এ কালভার্টটি দশদিন আগে নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বাের্ডের অধীনে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে এই কালভার্টটি নিমার্ণ করা হয়।

বিআরডিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর অধিনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা দেবনগড় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও প্রকল্প স্কীম বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক এই কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব নেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করলে এলাকাবাসীরা সে সময়ই বাঁধা দেয়। কিন্তু এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্টরা পরিমাণের চেয়ে কম রড ও সিমেন্ট এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্টটির দ্রুত নিমার্ণ কাজ শেষ করে। নিমার্ণের ১০ দিন পর গত ৯ জুলাই কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে।

শিবচন্ডি গ্রামের আজিজার রহমান জানান, বিভিন্ন প্রকার যানবাহনসহ এলাকাবাসির চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। চলাচলের জন্য আর কােন বিকল্প রাস্তা না থাকায় কােন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে এলাকাবাসী দুর্ভােগ পােহাচ্ছে।

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম কালভার্টটির উপর দিয়ে ট্রাক্টর যাওয়ায় উপরের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

বিআরডিবি উপ-পরিচালক শামসুর রহমান জানান, কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি তিনি এখনো জানেন না। তবে কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সােহাগ চন্দ্র সাহা জানান, কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযােগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন