শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না খেয়ে মরল গহীন বনের বাঘ

টানা ৬ দিন ক্যাম্পের আশেপাশে ঘুরে বেড়ালেও আতঙ্কে ধারে-কাছে যেতে পারেননি বনকর্মীরা। সম্প্রতি সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন আন্ধারমানিক ক্যাম্প এলাকায় একটি পূর্ণ বয়স্ক মাদী বাঘের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বাঘটি মারা যায়। বনবিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, পায়ের গোড়ালিতে ক্ষতের কারণে শিকার করতে না পেরে ক্ষুধায় বাঘটির মৃত্যু হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন সোমবার (১৩ জুলাই) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বনবিভাগ এর তথ্যমতে জানা যায়, বাঘটির মৃত্যুর খবর শুনে শনিবার সেখানে যায় বনবিভাগের লোকজন। মাদী বাঘটির ময়নাতদন্ত করে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ ও চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর বাঘটির মরদেহ ক্যাম্পের পাশেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার গভীরে আন্ধারমানিক ক্যাম্পটির অবস্থান।

বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন আরও জানান, মৃত্যুর ৬-৭ দিন আগে থেকে আন্ধারমানিক ক্যাম্প কর্মীরা বাঘটিকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলেন। নিজেদের সতর্ক অবস্থানে থেকে তারা বাঘটির ওপর করা নজরদারি করছিলেন।

মামুন জানান, বাঘটির মৃত্যুর পর খুলনা থেকে ভেটেরিনারি সার্জনসহ একটি টিম নিয়ে তিনি শনিবার সেখানে যান এবং মৃত বাঘটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় বাঘের বাম পায়ের গোড়ালিতে একটি মারাত্মক ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। এ ক্ষতের কারণে বাঘটি বেশকিছুদিন ধরে শিকার করতে পারছিল না। ফলে খাবার সংগ্রহ না করতে পেরে দুর্বল হয়ে ধীরে ধীরে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে এটাই ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  উপোষের বিনিময়ে আন্দোলন

এদিকে, ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মৃত মাদী বাঘটির বয়স ১৪ বছর। এর দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ও উচ্চতা ৩ ফুট।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন