সম্প্রতি পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হয়েছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের প্রায় ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত একটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত টানা ভাঙনের কবলে পরে ৫০ বছরের পুরনো বাজারটি। এতে প্রায় ১৮টি দোকান ঘর পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। গেল রাতে অব্যাহত নদী ভাঙনে আরও পাঁচ দোকানসহ দুই দিনে ২৩ দোকান নিয়ে বাজারের বেশ কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এই ভাঙনের ভয়ে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিয়েছে ।
ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীর থেকে অনেক স্থাপনা নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পদ্মায় পানি বেড়ে গেলে গত এক সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙনের কবলে পরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারটি।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীর পানিতে ভেসে যাওয়ার কারণে ব্যাপক লোকসানে পরেছে ব্যবসায়ীরা। পরিবারের ভরন পোষণের একমাত্র দোকান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। দ্রুত ভাঙন রোধসহ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অপরদিকে শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর আটটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গেল বছরের ফেলা জিওব্যাগ স্রোতের তোরে ভেসে গেছে কয়েকটি জায়গায়। এতে করে শরীয়তপুর শহর রক্ষাবাঁধ বর্তমানে অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছে। ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধে ওই স্থানে ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙ্গন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি ভুক্তভোগীদের। এই ব্যাপারে শরীয়তপুর-২ আসনের পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে আমরা সবসময় আছি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে