ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি

সম্প্রতি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গুদারবন্দে কালভার্ট নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি ব্যববহার করা হয়েছে । তবে এর সাথে জড়িত ওই ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য।

কালভার্ট নির্মাণে ঢালাই করার আগে রডের তৈরি ফ্রেম বসাতে হয় কিন্তু ময়মনসিংহে রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি দিয়েই ঢালাই করার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় নির্মাণাধীন দুটি কালভার্টের একটিতে রডের বদলে বাঁশের ফালি এবং অপরটিটিতে কিছুই ব্যবহার করা হয়নি।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলীর তত্ত্বাবধানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু তিনিই নন, একই সড়কে আরেকটি প্রকল্পে একই রকম অনিয়ম করেছেন নারী ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম। তবে এক্ষেত্রে মোহাম্মদ আলী বাঁশের ফালি ব্যবহার করলেও রাশিদা কোনো কিছু না দিয়েই ঢালাই শেষ করেছেন!

আজ শনিবার এমন দৃশ্যের ছবি তুলে বায়েজিদ আহমেদ নামে স্থানীয় এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করার পর ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর এতেই তোলপাড় সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে, সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান অনেকেই।

ব্যাপারটি জানাজানি হলে খবর পেয়ে বিকেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক একেএম গালিভ খান ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক। পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতাও দেখেন তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গেল অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি প্রকল্পে সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুই লাখ টাকা বরাদ্দে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীকে একটি এবং দেড় লাখ টাকা বরাদ্দের একটি প্রকল্পে ইউপি সদস্য রাশিদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি সচিব হাজেরা খাতুন বলেন, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন এলজিইডির তদারকি কর্মকর্তা ও আমার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা কাউকে কিছু না বলে ছুটির দিন শুক্রবার ঢালাই করেছেন।পরিদর্শনে ঘতনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন