মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মসজিদে প্রথম কাতারে বসবেন অফিসাররা’ এমন নোটিশে টাঙ্গাইলে সমালোচনার ঝড়

প্রথম কাতারে বসবেন অফিসাররা, অন্য কেউ বসতে পারবেন না। সম্প্রতি এমন একটি ‘জরুরি নোটিশ’ সাঁটানো হয়েছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে।

জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মসজিদে প্রবেশের দরজাসহ মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় নোটিশটি লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ এলাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হলে নোটিশ তুলে নেওয়া হয়। তবে এই নোটিশটি কেন টানানো হয়েছিল,এ নিয়ে মসজিদ কমিটি ও ইমাম পরস্পরকে দায়ী করছেন।

মসজিদ কর্তৃপক্ষের নোটিশে জানানো হয়, সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নামাজের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত এবং জুমার নামাজ চিহ্নিত জায়গার বাহিরে পড়া যাবে না এবং জামাত দাঁড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত অফিসারগণের সম্মানে সামনের কাতারে না দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। জামাত দাঁড়ানোর সময় সামনের চিহ্নিত খালি জায়গা পূরণ করে দাঁড়াবেন। মসজিদের বাহিরে বা রাস্তায় মসজিদের কার্পেট বিছানো হবে না, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।

উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ রেজাউল করিম জানান, গত বৃহস্পতিবার মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে এ সংক্রান্ত নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া শুক্রবার জুমার নামাজের আগে নোটিশটি পড়ে মুসল্লিদের জানিয়ে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি মসজিদ কমিটির। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমি শুধু সেটি বাস্তবায়ন করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন জানান, মসজিদের ইমামকে যেভাবে বিষয়টি লিখতে বলা হয়েছিল, তিনি সেভাবে লেখেননি। এটা তার ভুলের কারণে হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  চাচির সঙ্গে পরকীয়া যুবকের কবজি কাটলেন ফুফা

তিনি আরও জানান, কয়েকদিন ধরে মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজ আদায় করছিলেন। যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন এজন্য নোটিশ দিয়ে বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মসজিদের ইমাম আগ বাড়িয়ে অফিসারদের বিষয়টি লিখেছেন। সামনের কাতারে অফিসাররা বসবেন এটা আমি তাকে লিখতে বলিনি।

উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না জানান, নোটিশের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরে জানতে পেয়ে নোটিশটি তুলে নেওয়া হয়েছে। আমার অনুমতি না নিয়ে কীভাবে নোটিশ দেওয়া হলো এ ব্যাপারে জানতে রবিবার জরুরি মিটিং আহ্বান করা হয়েছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন