ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে চীনের টিকার ট্রায়াল নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ‘উসকানি’

চলতি মাসে বাংলাদেশে শুরু হতে পারে চীনের করোনার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভেকের অংশীদার হিসেবে এই পরীক্ষা চালানো হবে।
তবে এই লাদাখ সীমন্তকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর বাংলাদেশে চীনের টিকার ট্রায়াল নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে উসকানিমূলক খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে তারা প্রশ্ন তুলেছে, পরীক্ষা সফল না-হলে বা রোগীর দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তার দায় কে নেবে? আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রোগীদের উপরে চিনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে আপত্তির কারণ পাচ্ছেন না তাঁরা। কারণ, চিনে এখন পর্যাপ্ত করোনা-রোগী নেই। জুনের গোড়ায় বেজিংয়ে যে ৩০০ নতুন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে কোনও ভাবে তা সংক্রমিত হয়েছিল।
বাংলাদেশের রোগীদের উপরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে, দায় কে নেবে বা ক্ষতিপূরণ কারা মেটাবে।”
টিকার পরীক্ষামূলক ব্যবহারের বিষয়টি করোনা প্রতিরোধের আলোচনায় কিছুটা সামনে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের বক্তব্যের ফলে। তবে এ ব্যাপারে কাজও অনেকটা এগিয়ে গেছে।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশে করোনা: ছয় মাসের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবিলায় সরকারের আগামী দিনের প্রস্তুতির তথ্য দিতে গিয়ে তিনি জানান, চীনা একটি প্রতিষ্ঠানের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বাংলাদেশে করা হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠান এই টিকা উৎপাদন করতে পারবে, তা-ও জানার চেষ্টা করছে সরকার।
টিকা বিশেষজ্ঞ এবং আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় টিকার ট্রায়াল শুরুর পরিকল্পনা আছে আইসিডিডিআরবিরের। এটি কবে নাগাদ শুরু হবে, এ মুহূর্তে তা বলা যাচ্ছে না। কেননা, অনেকগুলো বিষয়ের ওপর এটি নির্ভর করছে।
আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন