সম্প্রতি সারাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণ করতে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
হাইকোর্টের দেয়া রায়ে গ্রাম পুলিশের মধ্যে দফাদার পদধারীদের ১৯তম গ্রেড এবং মহল্লাদারদের ২০তম গ্রেড নির্ধারণ করে তাদের বেতন-ভাতা ২০০৯ সালে ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেল (বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫) অনুযায়ী দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায়ে গ্রাম পুলিশদের ২০১১ সালের ২ জুন থেকে সুবিধা দেয়ার জন্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের গতবছর ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশ্য আদালতে এ রায় ঘোষণা করেছিলেন। যার লিখিত কপি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ সপ্তাহে প্রকাশ করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানান গ্রাম পুলিশদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
এছাড়া, রায়ে ২০১১ সালের ২ জুনের পর স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০১১ বহির্ভূতভাবে গ্রাম পুলিশ পদে যেকোনো নিয়োগ অবৈধ ও বাতিল হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশ রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের চাকরি চতুর্থ শ্রেণিভুক্ত করতে ২০০৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠায়।
তাছাড়া, সর্বশেষ ২০০৯ সালে তাদের স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীণে ২০১৫ সালে এ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকরির শর্তাবলী সংক্রান্ত বিধিমালা করা হয়। কিন্তু এ বিধিমালায় তাদের চাকরি কোনো শ্রেণিভুক্ত হবে তা নির্ধারণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এনিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এর ধারাবাহিকতায় রিট করা হলে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ এ রায় ঘোষনা করা হয়।
আনন্দবাজার/শাহী