দ্রুত গতিতে অবনতি ঘটছে কুড়িগ্রামের বন্যার পরিস্থিতি। জেলাটিতে প্রতি ঘণ্টায়ই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ৬ টায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ছিলো।
তবে গেল ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আজ রবিবার (২৭ জুন) সকাল ৬ টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৬৪ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টের পানি ১৯ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৫০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৬২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানিযেছেন, ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী তিনদিন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও এ জেলায় এক সপ্তাহের স্থায়ী একটি বন্যা হবে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে জেলার ৪২টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। এত করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দেড় লাক্ষের বেশি মানুষ। একই পানিতে তলিয়ে গেছে ১ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়াও এ জেলায় নদী ভাঙনের কারণে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ভাঙন কবলিতদের সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.কে