শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উলিপুরে ২১ হাজার পরিবার পানিবন্দী

উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি। ফলে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২১ হাজার পরিবারের মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এতে করে দূর্ভোগে পড়েছে চর-দ্বীপচরসহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষজন। করোনার এই মহা দূর্যোগের সময় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়ায় পানিবন্দী মানুষজন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে হঠাৎ করে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে করে তিস্তা নদী বেষ্টিত থেতরাই, বজরা, দলদলিয়া, গুনাইগাছ ও ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বর্ষার শুরু থেকে নদী ভাঙ্গন তীব্র রুপ ধারন করায় ওই এলাকা গুলোর শত শত বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বজরা ইউনিয়নের চর বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের হুমকির মুখে পড়েছে একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাটসহ মসজিদ ও মন্দির।

থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গোড়াই পিয়ার, রামনিয়াসা, জুয়ানসাতরা, হোকডাঙ্গা, চর গোড়াই পিয়ার, খারিজা লাঠশালাসহ ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পুরো এলাকায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে ৪শ ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন। হাতিয়া ইউনিয়নের ২ হাজার ৫শ পরিবার ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। করোনার মহা দূর্যোগের সময় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়ায় পানিবন্দী মানুষজন গবাদিপশুসহ আবাসস্থল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  মিনিকেট বন্ধে আইন

উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের পানিবন্দী মানুষের জন্য ৪৮ মেঃ টন চাল, নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ১লাখ ১০ হাজার টাকার শিশু খাদ্যের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণের জন্য প্যাকেটিং এর কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পানি বন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা উনি অবগত আছেন। বন্যা মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এইচ আর

সংবাদটি শেয়ার করুন