করোনা ভাইরাসের মহামারীতে যখন রাজধানীতে আইসিইউ নিয়ে হাহাকার তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে খালি পড়ে রয়েছে ৮৩ শয্যা। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা ছয়ের অধিক নয়। রাজধানীর ১৬টি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১৮০টি বলে জানানো হলেও অনুসন্ধান করে দেখা যায় এর সংখ্যা ১২৩টি।
আইসিইউ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের তথ্য বলছে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ২৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৯টি আছে। তবে সরেজমিনে দেখা যায় ১৫টি শয্যার একটিও খালি নেই।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, ১৫টা চালু আছে এবং এইগুলো সব রেডি আছে। এসবের জন্য অ্যানেস্থাসিয়ার প্রয়োজন, এখন বাংলাদেশেও তো অ্যানেস্থাসিয়ার শট রয়েছে।
এদিকে, একই অবস্থা বিরাজ করছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেও। এখানে ১০টি শয্যার সব কটিতেই রোগী রয়েছে। কিন্তু অধিদপ্তরে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শয্যা রয়েছে ২৭টি। তবে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল জানান, প্রফেশনাল আছে ১০টি আর বাকি ১৭টা চলমান।
ঢাকা মেডিকেলের তথ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি গোলমাল। কাগজ-কলম অনুযায়ী ৪৮টি আইসিউই শয্যা থাকার কথা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হিসাবে ১৪টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান জানান, তারা বলছেন টোটাল বেডের সংখ্যা, বেড কতগুলো ও কতগুলো আইসিইউ রয়েছে সেটার হিসাবই আমাদের দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রন্ত রোগীদের জন্য ২৪০টি আইসিইউ শয্যা বরাদ্দ।
আনন্দবাজার/এম.কে