রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি, বর্ষার শুরুতেই পানিবন্দি অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

উজানের ঢল এবং বৃষ্টিপাতে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। এর ফলে কুড়িগ্রামে এই দুই নদীর আওতায় চার উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ হয়ে পড়েছে পানিবন্দি । প্লাবিত হয়ে পড়েছে দুধকুমার, ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নিম্নাঞ্চল।

সম্প্রতি পানি  উন্নয়ন বোর্ড আগামী ৫-৬ দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে জেলায় মাঝারি মেয়াদি বন্যা হবে বলে বলে জানিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, আজ শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঘোগাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া জানান, ইতোমধ্যে আরাজি কুমরপুর, রাউনিয়া, চর রসূলপুর এবং কাশিচর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের মশালের চরসহ ৬ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক ঘরবাড়িতেই পানি প্রবেশ করেছে। তীব্র নদী ভাঙনের কারনে মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ওই ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ ঘরহীন হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, নয়ারহাট এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। সেই সাথে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ইউনিয়নের দুইশ’ বিঘার আশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েকটি গৃহ বিলীন হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতে রয়েছে পুরো আশ্রায়ন প্রকল্পসহ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

আরও পড়ুনঃ  গণপিটুনির ভয়ে স্মার্টকার্ড হাতে নিয়ে ভিক্ষা!

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন