শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবনা লঞ্চ মালিকদের

লঞ্চ ভাড়া ৬৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে লঞ্চ মালিকেরা। ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান বরাবর গত রোববার আবেদন করেছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা।

করোনাভাইরাস এর কারণে অর্ধেকেরও কম যাত্রী পরিবহনে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়ে ভাড়া বৃদ্ধির এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আবেদনে ২৭ জুনের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব কার্যকরের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা হারে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ৬৬ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আর ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে কিলোমিটারপ্রতি বর্তমান ভাড়া ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২ টাকা ৩৬ পয়সা করার দাবি জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

মালিকরা বলছেন, সাধারণ ছুটিতে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। তখন থেকেই তারা ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করে আসছেন। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ‘ধীরে চলো’ নীতির কারণে লঞ্চ পরিচালনা বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএর সদরঘাট টার্মিনালের যুগ্ম মহাপরিচালক আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে ঢাকার সদরঘাট থেকে ৫৫-৬০টি লঞ্চ দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন দেড়শর বেশি লঞ্চ চলত। সাধারণ ছুটির পর যখন লঞ্চ চলাচল শুরু হয়, তখন লঞ্চে ভালোই যাত্রী হতো। কিন্তু বর্তমানে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

আরও পড়ুনঃ  রাস্তায় মাস্ক না পরা থাকলেই আইনি ব্যবস্থা

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ স্বাক্ষরিত আবেদনে লঞ্চ মালিকরা অভিযোগ করেছেন, এখনো পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া বাড়ানো না হলেও স্বাস্থ্যবিধির অজুহাতে বিভিন্ন বন্দর ও ঘাটে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেকেরও কম যাত্রী পরিবহনে বাধ্য করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লঞ্চগুলোকে জরিমানাও করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রত্যেক নৌরুটেই লঞ্চ পরিচালনা করতে গিয়ে মালিকরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। এমন অবস্থায় ২৭ জুনের মধ্যে প্রস্তাবিত বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের অনুরোধ জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে লঞ্চ চালিয়ে তেলের টাকাই তোলা যাচ্ছে না। ভাড়া না বাড়ানো হলে লঞ্চ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আমরা যৌক্তিক হারে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন