প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকা চট্টগ্রামে প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)।
আজ বুধবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক ডা. মোহাম্মদ সেলিম।
তিনি জানান, ডা. সমিরুল গত মাসের মাঝামাঝি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে ঢাকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ২৬ মে চট্টগ্রামে তাঁকেই প্রথম প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। প্লাজমা থেরাপি দেওয়া পর চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পরে ১৫ জুন ভালো চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ সকালে হঠাৎ করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই আজ দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান।
স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান জানান, দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়ার পথে ছিল সমিরুল ইসলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সকালে তাঁর ফুসফুসের জটিলতা দেখা দেয়। অক্সিজেন স্যাচুরেশান কমে যায়। এর পর লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মারা যায়।
ডা. আ ম ম মিনহাজ আরও বলেন, ‘চিকিৎসার পর তাঁর করোনা নেগেটিভ আসে। তবে ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘ চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হচ্ছিল।’
এদিকে অধ্যাপক সমিরুল ইসলামের স্ত্রী চমেক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনা ইসলাম এবং দুই সন্তানেরও করোনা পজিটিভ ছিল। তাঁরা বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
আজ বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের পুরাতন ভবন চত্ত্বরে ডা. সমিরুল ইসলামের নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
আনন্দবাজার/শাহী/মতি