প্রধানমন্ত্রীর নগদ প্রণোদনার তালিকায় নাম দিয়ে সুবিধা ভোগ করলেন বিশ বিঘা জমির মালিক। মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের বারো তীর্থ গ্রামের হাফিজ উদ্দীন নামের এই ব্যক্তি নগদ প্রণোদনার ২ হাজার ৫০০ টাকা তুলেছেন।
এমনকি স্থানীয় বড় ব্যবসায়ী, অবস্থাপন্ন গৃহস্থ এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের শ্বশুর, শ্যালক, ভায়রা ভাই, আপন তিন ভাই, মামা, মামাতো ভাই, চাচা, চাচাতো ভাইসহ ৫১ স্বজন এ প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ ইউনিয়নের হতদরিদ্র গারো ও কোচরা বঞ্চিত হয়েছেন এ টাকা থেকে।
মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন এবং ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে অবস্থাপন্ন লোকদের এই সুবিধা নিয়ে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী এমন কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে প্রতিকারের দাবিতে তার নিকট গত সোমবার আবেদন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মধুপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ হাজার ১২০টি পরিবার ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার নগদ প্রণোদনা পেয়েছেন। এর মধ্যে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের ৩৩০ টি পরিবার পায় ৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। চেয়ারম্যান আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে এ টাকা প্রাপ্তির তালিকা তৈরিতে স্বজনপ্রীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে শোলাকুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন জানান, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে তালিকা হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি। চেয়ারম্যানের গরীব, দরিদ্র অসহায় আত্মীয় স্বজন থাকতে পারবে না এমন নিয়ম নেই। আর তারা রাষ্ট্রীয় এমন সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন না, এমন না। তালিকায় তাদের নাম দেয়া অপরাধ হয়নি।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস