সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে দেশে আইসিইউ বেড এর সংখ্যা মাত্র এক হাজারটি। এর মধ্যে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৩৯৯টি। মোট আক্রান্তের রোগী হিসেবে এই সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে আইসিইউ নিয়ে তোড়জোড়ে বেরিয়ে এসেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের এই দৈন্যদশা। করোনার চিকিৎসায় নতুন যে কয়েকটি আইসিইউ স্থাপনের পরিকল্পনা পাশ হয়েছে সেগুলো আগষ্টের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা মোকাবিলায় সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত আইসিইউর সংখ্যা ৩৯৯। এর মধ্যে ২৫৬টি ঢাকায় এবং ১৩৪ টি অন্যান্য জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম সহকারি পরিচালক ডা. আয়েশা বলেন, করোনায় যারা সুস্থ হয়ে গেছে, তারা বেড খালি করে দিলে আরেকজনকে আইসিইউতে ট্রান্সফার করা যায়।
এছাড়া পুরো দেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় প্রায় চারশতাধিক ও ঢাকার বাইরে বাকি ছয়’শ। অথচ অধিকাংশ কাজ শেষ করেও চালুর অপেক্ষায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রায় ৪০টি আইসিইউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বছরের পর বছর অবহেলায় থাকা এই স্বাস্থ্যখাতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে এই করোনাকালীন সময়ে।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, এই জিনিসগুলো আমাদের পরিকল্পনার অভাব। আমার মনে হয়, যারা বাজেট করেন তাদের স্বাস্থ্যটাকে খেয়াল করতে হবে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তড়িঘড়ি করে যে আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে এগুলো সেবাদানের উপযোগী করতে সময় লাগবে আরো অন্তত তিন মাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই কোভিড সংকট আসার আগে, অন্তত সরকারি হাসপাতালের আইসিইউর সংখ্যা ডাবল করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছিলাম। এছাড়া বাড়ানো হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস