ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিইউ ও অক্সিজেন সংকটে চট্টগ্রামে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং আইসিইউ এর মারাত্বক সংকট। বিভাগে মোট করোনা আক্রান্ত আড়াই হাজার রোগীর জন্য আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ১০টি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আইসিইউ বেড সংখ্যা অন্তত ৬০ পর্যন্ত বর্ধিত করতে না পারলে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ রোগীর কোনো উপসর্গ ছিল না। ১০ শতাংশ রোগীর ছিল মৃদু উপসর্গ আর বাকি ১০ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। এই ৫ শতাংশ রোগীকে নিয়েই চরম বিপাকে পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক হাজারের বেশি রোগী বর্তমানে নগরীর বিশেষায়িত চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসব রোগীদের শ্বাসকষ্ট নিবারণের জন্য প্রতিনিয়ত দরকার হয় অক্সিজেনের যার জন্য দরকার আইসিইউ সুবিধা। তবে জেনারেল হাসপাতালের ১০টি শয্যা ছাড়া আর কোনো আইসিইউ’র ব্যবস্থা করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় মৃত্যু হচ্ছে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনসহ এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মারা গেছেন মোট ৮৩ জন। এরমধ্যে রয়েছেন একজন চিকিৎসক’ও।

চট্টগ্রাম বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মইজ্জুল আকবর চৌধুরী বলেন, সমগ্র চট্টগ্রামের জন্য ২০টি আইসিইউ বেড এটা নামমাত্র ছাড়া কিছুই না। সাধারণ মানুষের চাহিদার কাছে এটা কখনও পর্যাপ্ত নয়।

চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি সদস্য সচিব ডা. সুশাস্ত বড়ুয়া বলেন, অক্সিজেন যদি আমরা দিতে পারতাম। তার সাথে আইসিইউ আর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট যদি আমরা দিতে পারতাম তাহলে চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য যে হাহাকার চলছে সেটি কিছুটা হলেও মোকাবেলা করতে পারতাম।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শয্যার আইসিইউ সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে বলে আমি বলবো। কারণ এখন ঘরে ঘরে জ্বর আসছে। ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন