সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত পর্যটন করপোরেশন এর ঝুলন্ত ব্রিজ নজর কারে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশী পর্যটকদেরও। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সারা দেশের মতো রাঙামাটির পর্যটন করপোরেশন পর্যটন স্পট ও মোটেল বন্ধ থাকায় দুই মাস ১২ দিনে প্রতিষ্ঠানটি আয় হারিয়েছে ৮৬ লক্ষ টাকা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ডিসেম্বর মাসে তা দাঁড়াবে ৪ কোটি ১১ লক্ষ টাকায়।
শুধু পর্যটন করপোরেশন নয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকা রাঙামাটির বিভিন্ন ঝর্ণা ও পর্যটন স্পট থেকে প্রতিদিন প্রচুর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। তেমনি ভাবে প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছে বেসরকারি ভাবে গড়ে ওঠা পর্যটন স্পটগুলো। আর পর্যটন স্পটগুলোর সাথে সাথে আশপাশে গড়ে ওঠা রকমারি পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আয় বন্ধ হয়ে চাকরি যাচ্ছে অনেক কর্মচারীর।
রাঙামাটির হোটেল মোটেলগুলো খোলা হলেও এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পর্যটন স্পটগুলোর উপর, যার কারণে হোটেল মোটেলগুলো খোলার পরও তেমন একটা আয়ের মুখ দেখছে না।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, রাঙামাটিতে পর্যটকের আনাগোনা থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হয়। কিন্তু এখন যেহেতু পর্যটকের আনাগোনা নেই, পর্যটন স্পটের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে সেহেতু আমরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হোটেল খুলেছি। গত দুই মাসে করোনার কারণে সারাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতো আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে, যা সংখ্যায় অনেক টাকা।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন, মার্চ মাসে ১৮ তারিখ পর্যটন স্পটের উপর নিষেধাজ্ঞা আসার পর আমরা সব পর্যটকদের বিদায় করে দিয়েছি। তখন থেকে আমাদের সব বন্ধ, সেই মাসের ১২দিনে আমাদের অনেক বুকিং বাতিল করে দিতে হয়েছে, এই ১২দিনে আমরা আয় হারিয়েছি ১৬লক্ষ টাকা। পরবর্তী এপ্রিল ও মে মাসে ৩৫ লক্ষ টাকা করে ৭০ লক্ষ টাকা আয় হারিয়েছি। এখনো যদি আমাদের মোটেলে তেমন বুকিং না পাই এবং পর্যটন স্পটের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে তাহলে জুনমাসে ৩৫ লক্ষ টাকা জুলাই, আগস্ট ৪৫ লক্ষ টাকা করে ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বরে ৫০লক্ষ টাকা করে আয় হারাবো।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস/এম ডি