রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেন ও লঞ্চের যাত্রা শুরু, বাস চালু হবে কাল

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে চালু হয়েছে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল। তবে বাস চলাচল শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। এদিকে রোববার সকালে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ট্রেন ছেড়েছে। তবে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকালের দিকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। দুপুর ১:৩০ মিনিট নাগাদ ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বনলতা এক্সপ্রেস।

জানা যায়, যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ট্রেনের অর্ধেক টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। টেনের সব টিকেট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। তাছাড়া স্টেশনে প্রবেশের মুখে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান ট্রেন চালাচলের বিষয়ে বলেন, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ট্রেন পরিচালনা করছি। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সকাল ৭.০০ নাগাদ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সুবর্ণ এক্সপ্রেস। তাছাড়া বিকেল ৫.০০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।

এদিকে, সিলেট থেকে সকাল ৬:১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে কালনী এক্সপ্রেস। আজ যে আটটি রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়েছে তার বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থেকে ছেড়ে আসবে এবং দুপুরের পর থেকে এসব ট্রেন আবার ঢাকা থেকে ফিরে যাবে।


অন্যদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বরিশালসহ ৩৪টি জেলায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজ সার্ভিস সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সকাল ৮:০০টায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এরপর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ চাঁদপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে গ্রিন লাইনের আরেকটি ওয়াটার ওয়েজ।

আরও পড়ুনঃ  মানবেতর জীবনযাপন করছে সোনারগাঁয়ের পরিবহন শ্রমিকরা

বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম-পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ পরিচালনা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে প্রতি ঘণ্টায় লঞ্চ রয়েছে, যেগুলোতে যাত্রী হলেই ছেড়ে যাবে। যেহেতু ভাড়া বাড়েনি, তাই আগের ভাড়ায়ই যাত্রীরা লঞ্চে যাতায়াত করতে পারবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ  বলেন, সোমবার থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। তবে সেটি সীমিত আকারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করা হবে প্রতিটি বাসে। বিআরটিএ যে ভাড়া ঠিক করে দেবে সে অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হবে যাত্রীদের কাছ থেকে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন