ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ শেষরাতে আঘাত হানতে পারে ‘আম্পান’, ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা

উপকূলের দিকে প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান।আজ মঙ্গলবার শেষরাতে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে এটি আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়াবিদরা। আঘাত হানার পর বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে আম্পান।

ভয়ঙ্কর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ সময় ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আম্পানের কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২২৫ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এটি আজ সকাল ৯টায় (১৯ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এটি উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে কাল ভোররাত থেকে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ৫/১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০-১৬০ কি.মি. বেগে দম্কা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন