সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা না মেনেই চলছে ধর্মপাশা উপজেলার, ধর্মপাশা, বাদশাগঞ্জ, গাছতলার প্রতিটি মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা। এসব মার্কেটগুলোতে দোকানি ও ক্রেতারা মানছেন না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।
সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকে ধর্মপাশা উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে, দেড় মাস পর সড়ক থেকে শুরু করে ছোট-বড় মার্কেট খুলে দেওয়ার পরপরই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। আর সেই সঙ্গে হালকা যানবাহনে পুরোনো চেহারা ফিরে পেয়েছে ধর্মপাশা উপজেলাবাসী। এছাড়া করোনা ঝুঁকি আমলেই নিচ্ছেন না এখানকার মানুষ। মাস্ক না পরে ও গা ঘেসেই করছেন ঈদেে কেনাকাটা। মনে হচ্ছে মহামারি করোনার প্রভাব যেন তাদের স্পর্শ করতেই পারবে না।
শারীরিক দূরত্ব না মেনেই চলছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা একজন ক্রেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, একেতো করোনার কারণে ঘরবন্দি। বের হতেই পারছি না। এখন ঈদ সামনে রেখে দোকান-পাট যখন খুলেছে, তাই আগে ভাগে কেনাকাটা-টা করে রাখছি।
মার্কেট গুলুতে বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মহিলা বলেন, প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। এবার করোনার পরিস্থিতিতে মার্কেট বন্ধ থাকায় কেনাকাটা করতে পারিনি। এখন মার্কেট খোলায় বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের পছন্দের পোশাক কেনার জন্য এসেছি। তবে মার্কেটে সব ধরণের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ধর্মপাশা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্টেট আবু তালেব, ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা যতক্ষণ থাকছি, ততক্ষণ সবাই আইন মানছেন। আর চলে এলেই আবার যা-তাই। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী